একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়
একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়

একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় – রউফুল আলম

‘একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়’ বইটিতে বর্তমান সময়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় আমাদের অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছে। দেশটাকে পৃথিবীর মঞ্চে দাঁড়াতে আমাদের কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ এই বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখক তাঁর স্বতন্ত্র ভাবনা বইটিতে প্রকাশ করেছেন।

শিরোনামঃ একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় – রউফুল আলম

বই একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়
লেখক রউফুল আলম (প্রবাসী বিজ্ঞানী)
প্রকাশনী সমগ্র প্রকাশন
পৃষ্ঠা ১৯২
মুদ্রিত মূল্য ৩৫০ টাকা
রিভিউ লেখক মো. সজিবুর রহমান সজীব

 

🔷🔷🔷 বই পরিচিতি

‘একটি দেশ যেভাবে দাঁড়ায়’ বইটি লেখকের অনুপ্রবন্ধগুলোর সংকলন। এখানে রয়েছে মোট ৬৩ টি অনুপ্রবন্ধ। পৃথকভাবে প্রতিটি প্রবন্ধের শুরুতেই রয়েছে চমৎকার চমৎকার শিরোনাম। সহজ-সরল ও সাবলীল ভাষায় লেখা ‘বইটি’কে করেছে প্রাণবন্ত।

🔷🔷 ফ্লপে লিখা
‘শিক্ষা যদি একটি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে শিক্ষাঙ্গনগুলো হলো সে মেরুদণ্ডের কশেরুকা।…. একটি দেশকে জাগাতে হলে শিক্ষাঙ্গনকে জাগাতে হয়। গবেষণাকে সংস্কৃতিতে রূপ দিতে হয়। একজন মানুষকে মূল্যায়ন করতে হয় শুধু কর্ম দিয়ে। যোগ্যকে উপযুক্ত স্থান দিতে হয় আর অযোগ্যকে আগাছার মতো ধীরে ধীরে তুলে ফেলতে হয়।

আপনার জন্যেঃ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী

 

📙📙📙 একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় : সারমর্ম

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে। দেশের অনেককিছুতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন-সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু নির্মোহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখুন, দেশটা কেমন জানি খাবি খাচ্ছে। ঠিক যতটা স্বাভাবিক প্রগতির প্রত্যাশা নাগরিক হিসেবে করা যায়, রাষ্ট্র তা থেকে যোজন যোজন দূরে! কিন্তু কেন? নিশ্চয়ই আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের দেশ কেনো এই বিশাল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারছে না!

একটি রাষ্ট্র কখন প্রগতির পথে পথে হোচট খেতে থাকে জানেন? যখন রাষ্ট্রের ভিত মজবুত রাখার জন্য যোগ্য কারিগরদের সংকট তৈরি হয়। কারা সেই কারিগর, যারা অতি আধুনিকতার পানে ছুটে চলা পৃথিবীতে রাষ্ট্রকে কল্যাণের পথে অটল রাখবে? উত্তর হলো : রাষ্ট্রের সুশিক্ষিত, প্রকৃত অর্থেই দক্ষ জনশক্তি, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সকল বিষয় নিয়ে উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী গবেষকসমাজ। এরাই তো সমাজকে এগিয়ে নেয়ার প্রকৃত কারিগর। কোথায় তৈরি হয় তেমন কারিগরেরা? অবশ্যই এসব কারিগর তৈরি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, গবেষণাগারে। যেখানে চলে বিরামহীন জ্ঞানের চাষ আবার চলে আবিষ্কার -উদ্ভাবন। সেখানেই নতুন দিগন্তের সূচনা হয় হামেশাই তরুণদের হাত ধরে !

একটি রাষ্ট্রের প্রশাসকরা কখনো উদ্ভাবন-সংস্কারের কাজটা করেন না। রাজনীতির মঞ্চ থেকে কেবল হুকুম জারির লোকবলই পাওয়া সম্ভব। কিন্তু রাজনীতিবিদ-প্রশাসকেরা যেসব উপায়-উপাদানকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্র চালান, তার জোগানদাতা হলো গবেষকরা। কিন্তু এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ পর্যন্ত ভালো কোনো কারিগর জোগান দিতে পারেনি। কেন পারছে না? কেন এশিয়া থেকে ইউরোপ কোনো অঞ্চলের উদাহরণকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আত্মস্থ করতে সক্ষম হচ্ছে না। আমাদের মৌলিক ঘাটতি কোথায়; কেবলই অবকাঠামো সংকট না-কি চিন্তা-চেতনায়?

নেপাল-শ্রীলঙ্কার সাথেও কেন আমরা পাল্লা দিতে পারছি না? এ থেকে উত্তরণের উপায় কি? গ্রন্থকার এখনো এদেশের তরুণদের জেগে ওঠে বিশ্বজয়ের সম্ভাবনা দেখেন। তাদের জাগাতে বইজুড়ে রয়েছে দিকনির্দেশনা, উদাত্ত আহ্বান। এমন সব বিষয় নিয়েই অনুপ্রবন্ধের এই সংকলনে কথা বলেছেন গবেষক ‘রউফুল আলম’।

🔷🔷 অনুপ্রেরণা ও পথনির্দেশকমূলক কিছু লাইন

★★ নিজেকে ক্ষুদ্র মনে করায় ক্ষুদ্রতা।

★★ দরিদ্র মানুষের বড় হওয়ার পথে অন্তরায়, তবে একমাত্র বাধা নয়।

★★ একটা দেশের হাজারো সমস্যা থাকার পরেও দেশটাকে দাঁড় করাতে হলে প্রয়োজন; রাজনীতির প্রভাবমুক্ত শিক্ষা গড়ে তোলা, উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা।

★★ মানুষ শুধু বিজয়ীর কথা শুনতে চায়।

আরও পড়ুনঃ দেশে বিদেশে সৈয়দ মুজতবা আলী রিভিউ

🔷🔷🔷 পাঠপ্রতিক্রিয়ার শেষ কথা

একটি দেশের তরুণরা নিষ্প্রাণ, হতোদ্যম, আনপ্রোডাক্টিভ হলে সে দেশের ভিত খুব নড়বড়ে হয়। অতএব আমরা এদেশটাকে তেমন হতে দেবো না কোনোভাবেই। অল্প অল্প করে অতীতের যতো কালোদাগ আছে মুছে দেবো আমরা ইনশাআল্লাহ।