গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণ
অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আজকাল একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মানুযায়ী খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ এবং অ্যালকোহল পানের কারণে এই রোগ হয়। গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসার: এটি একমাত্র খাবার যা গ্যাস্ট্রিক আলসার সবচেয়ে কার্যকরভাবে নিরাময় করতে পারে।
আরও দেখুনঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণ:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে
- ক্ষুধামন্দা,
- পেটে গ্যাস,
- বুক জ্বালাপোড়া
- এবং পেটের মাঝখানে ঝাঁঝালো ব্যথা,
- বুক ও পেটে চাপ,
- হজমে অসুবিধা
- এবং বমি হওয়া।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি হলে হয়তো সবাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কমবেশি ওষুধ খাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরের পর বছর ওমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক। এটি পাকস্থলীর pH পরিবর্তন করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং রক্তাল্পতা হতে পারে।
কিন্তু জানেন কি এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় আছে? দুপুরে নাস্তা না খাওয়া, দুপুরের খাবার বিকেলে বা রাতে, রাতের খাবার খুব দেরিতে বা রাতে না খাওয়ার ফলে অনেকেরই অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। সেজন্য নিয়মিত খাবার খেতে হবে। একবারে ভরা পেটে খাবার খাবেন না, কিন্তু ইসলামে পেট ভরা নয়, খাবারের এক তৃতীয়াংশ দিয়ে পেট ভরতে হবে, বাকি দুই ভাগে এক ভাগ পানি থাকবে এবং এক ভাগ খালি থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ওমিক্রণ ভাইরাস কি এবং ওমিক্রণের লক্ষণ
কিন্তু এই নিয়ম মেনে চললেই আমরা অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। অতিরিক্ত খাবার একবারে না নিয়ে বারবার ছোট খাবার খান। দিনে তিনবার খাবারের মধ্যে দিনে 2-3 বার হালকা নাস্তা খান। অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার, ভাজা খাবার, অতিরিক্ত নোনতা খাবার, কেউ নিরামিষ খাবার খান আবার কেউ দুধ খেলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই শনাক্ত করুন আপনার কোন খাবারে আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হচ্ছে; এটি ডায়েট থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন।
কার্বনেটেড পানীয় যেমন কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। সবসময় খাবার চিবানোর চেষ্টা করুন। এতে খাবার সঠিকভাবে হজম হবে, সঠিক পুষ্টি পাবে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঝুঁকি কমবে। খাওয়ার পর বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।