দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার বঙ্গ জার্নাল

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এর জীবন বৃত্তান্ত

রূপকথা (দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার-সংকলিত “ঠাকুরমার ঝুলি”)

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এর জীবন বৃত্তান্ত (১৮৭৭-১৯৫৭) দক্ষিণারঞ্জন ঢাকা জেলার সাভার থানার উলাইল গ্রামের সম্রান্ত মিত্র-মজুমদার বংশে ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই এপ্রিল (১২৮৪ বঙ্গাব্দের ২ বৈশাখ) জন্মগ্রহণ করেন। এ গ্রামের পূর্বোক্ত নাম ছিল কর্ণপাড়া। তাঁর পিতা রমদারঞ্জন মিত্র-মজুমদার ছিলেন এ গ্রামের জমিদার। মাতা ছিলেন কুসুমময়ী। সাভারের এই বর্ধিষ্ণু মিত্র-মজুমদার পরিবারের আদিবাস ছিল বাখরগঞ্জ বা বরিশাল জেলার বাকলা মহকুমার অন্তর্গত চন্দ্রদ্বীপ গ্রামে।

জনশ্রুতি আছে, প্রাচীন বাংলার বার-ভূঁইয়াদের অন্যতম যশােরের রাজা প্রতাপাদিত্যের জামাতা উদয়নারায়ণ ছিলেন এ বংশের পূর্বতন পুরুষ, এই উদয়নারায়ণের বংশেই দক্ষিণারঞ্জন মিত্র-মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন। “রাজা, যেমন সেকালের নবাবদের দেয়া সম্মানসূচক খেতাব, মজুমদারও তেমনি নবাবি আমলে পাওয়া একটা উপাধি। দক্ষিণারঞ্জনদের প্রকৃত পদবি (মিত্র’-‘মজুমদার” উপাধি পেয়েছিলেন তাঁর চার পুরুষ পূর্বের জমিদার ক্ষণদারঞ্জন। ক্ষণদারঞ্জনের পর থেকে তাঁর উত্তর পুরুষেরাও মিত্র-মজুমদার পদবিতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। দক্ষিণারঞ্জনের পিতা রমদারঞ্জন মিত্র-মজুমদার ছিলেন একজন স্বভাবকবি।

👉 আরও পড়ুনঃ ছড়া কি? ছড়ার সংজ্ঞা সহ বিস্তারিত আলোচনা

নানা শাস্ত্রে তিনি ছিলেন ব্যুৎপন্ন ! শৈশব-কৈশােরে পিতার মাধ্যমেই সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন দক্ষিণারঞ্জন। তিনি লিখেছেন-“বাবা ছিলেন নানা শাস্ত্রে পণ্ডিত, কবি প্রকৃতির মানুষ, বাড়ির বড় ছেলে আমি, বাবার কাছেই ঘটেছিল আমার সাহিত্যের হাতেখড়ি।” পিতার মতাে জননী কুসুম ময়ীও দক্ষিণারঞ্জনের শৈশবচিত্তে রূপকথার আনন্দ সঞ্চারে দূর সঞ্চারী ভূমিকা পালন করেন। মায়ের কাছে দক্ষিণারঞ্জন রূপকথার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তেন। উত্তরকালে সেই কথারই সংগ্রাহক এবং রচয়িতা হিসেবে দক্ষিণারঞ্জন রেখে যান অক্ষয় কীর্তির স্বাক্ষর।

ছােটবেলা থেকে দক্ষিণারঞ্জন কিছুটা চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন। পাঠ্যপুস্তকের প্রতি তাঁর ছিল এক ধরনের অনীহা। পড়াশােনার চেয়ে তিনি বেশি আগ্রহ পেতেন বন্ধুদের সাথে খেলাধুলায়, দস্যিপনা অথবা আডডাতে মেতে থাকতে। ধরা-বাধা জীবন ছিল তার ভীষণ অপছন্দের । পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান বলে ছােটবেলা থেকে তিনি একটু বেশি আদর লাভ করেছিলেন। আর এ আদরের পাশাপাশি তাঁর জীবনে ছিল স্বাধীনতারও এক অবাধ স্ফুরণ, অবশ্য তাঁর জীবনে স্বাধীন এ জীবনাচরণ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র নিয়বছর বয়সে মাতৃহারা হন তিনি।

মাতৃ-বিয়ােগের পরে স্কুলের পাঠের প্রতি খানিকটা আগ্রহী হন। লেখাপড়ার প্রতি ছেলের নতুন এ আগ্রহে রমদারঞ্জন কিছুটা স্বস্তিবােধ করেন। গৃহের পাঠের পরিবর্তে তিনি তাঁকে ঢাকার কিশােরীমােহন হাই স্কুলে ১৮৮৭ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। ভর্তির পরে দক্ষিণারঞ্জন পূর্বের মূর্তি ধারণ করেন। লেখাপড়ায় এখানে তিনি তেমন কোনাে আগ্রহ পাননি। তাঁর এ


👉 ডাক ও খনার বচনের শ্রেণিবিভাগ

অনাগ্রহে রমদারঞ্জন পুনরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ সমস্যা থেকে অব্যাহতির লক্ষে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুলে ১৮৯৩ সালে সপ্তম শ্রেণিতে তাকে নতুন করে ভর্তি করে দেয়া হয়। রমদারঞ্জন ভেবেছিলেন, আগের বন্ধুদের সাহচর্য থেকে যদি দূরে রাখা যায়, তাহলে বােধ হয় পাঠের প্রতি তার আগ্রহ জন্মাবে। কিন্তু স্কুল পরিবর্তনেও দক্ষিণারঞ্জনের অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হলাে না।

মূলত পারিবারিক সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকার কারণে তার মধ্যে সব সময়ই হতাশা কাজ করত। আর ঠিক এ সময় পিতার দ্বিতীয় বিবাহ তাঁকে মানসিকভাবে আরাে বেশি অসহায় করে তােলে। রমদারঞ্জন তার মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে পেরে টাঙ্গাইলের দীঘাপতিয়াতে বসবাসরত তাঁর ভগ্নি (দক্ষিণারঞ্জনের পিসি) রাজলক্ষ্মী চৌধুরানীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। টাঙ্গাইলের সন্তোষ জাহ্নবী হাইস্কুলে দক্ষিণারঞ্জনকে ভর্তি করে দেয়া হলাে। পড়ালেখার চেয়ে অন্য কাজে দক্ষিণারঞ্জনের আগ্রহ এখানেও অব্যাহত থাকল । কাব্যচর্চায় অধিক উৎসাহী হয়ে ওঠেন দক্ষিণারঞ্জন।

পাঠ্য-গ্রন্থের চেয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস তাঁকে বেশি আকর্ষণ করত এ কারণে তাকে প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের কড়া বকুনি খেতে হতাে। নিঃসন্তান রাজলক্ষ্মী ভাইপাের পড়াশুনার উন্নতির জন্য নিজ বাড়ির পরিবর্তে তাঁকে বাের্ডিংয়ে রাখেন। বাের্ডিংয়ে থাকার সময় পিসির কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পড়াশােনার প্রতি পুনরায় উৎসাহী হন। এর ফলে নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রতি পরীক্ষাতেই সবাইকে টপকে তিনি প্রথম হতে থাকলেন। পরিবর্তন এলাে তার পাঠ্যাভ্যাসে। কিন্তু পিতার হঠাৎ সিদ্ধান্তে টাঙ্গাইল ছেড়ে তাকে যেতে হল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরে। ১৮৯৭ সালে বহরমপুর হাইস্কুলে তাঁকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি করানাে হয়।

এই স্কুল থেকেই ১৮৯৮ সালে প্রথম বিভাগে তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এন্ট্রান্স পাসের পর দক্ষিণারঞ্জনকে বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে এফ.এ ক্লাসে ভর্তি করানাে হয়। কিন্তু পড়ালেখার প্রতি হঠাৎ উৎসাহ আবার স্তিমিত হয়ে পড়ল। বহরমপুরে পিতার সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার তাঁকে আকর্ষণ করল । ক্লাস আর পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে নানা ধরনের সাহিত্য পাঠ আর কবিতা চর্চায় তিনি অধিক আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পিতাও তেমন একটা বাধা দেন না। বরং পিতার কাছ থেকে অর্থ নিয়েই ১৯০১ সালে দক্ষিণারঞ্জনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হলাে (সুধা নামের মাসিক সাময়িকপত্র।

সুধা‘ পত্রিকার গােটা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল সুধা পত্রিকা চলছিল চার বছর । সুধা প্রকাশ দক্ষিণারঞ্জনের সাহিত্যজীবনের এক উল্লেখযােগ্য ঘটনা। ওই পত্রিকায় সেকালের বিখ্যাত লেখক কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, নিখিলনাথ রায় প্রমুখের লেখা ছাপা হয়েছে, পত্রস্থ হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কবিতা। বহরমপুর বাসকালেই দক্ষিণারঞ্জনের প্রথম গ্রন্থ উত্থান কাব্য প্রকাশিত হয় ১৯০২ সালে ।(উত্থানীমূলত রাজনৈতিক কবিতার সংকলন। (১৯০২ সালে দক্ষিণারঞ্জনের পিতা রমদারঞ্জন মারা যান।

পিতার মৃত্যুর পর তিনি মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করে পিসিমা রাজলক্ষ্মীর কাছে টাঙ্গাইল চলে আসেন। এ কারণেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় সমাপ্তি ঘটে। টাঙ্গাইলে এসে দক্ষিণারঞ্জন কৃষিকাজে মনােযােগী হয়ে ওঠেন। ভাইপাের উৎসাহ দেখে রাজলক্ষ্মী দেবী তাঁকে জমিদারি ।

দেখাশােনার দায়িত্ব দিলেন। এর ফলে পল্লী বাংলাকে জানার সুযােগ ঘটল দক্ষিণারঞ্জনের। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে তিনি ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। রাখাল বালকের বাঁশির সুরে, মাঝিদের উদাস-করা ভাটিয়ালি গানে আর গ্রাম-বৃদ্ধাদের মুখে ‘পরনকথা শুনে তাঁর রসপিপাসু মন ভরে উঠল দীর্ঘদিন ধরে তিনি এসব গ্রামীণ ব্রতকথা- গীতিকথা-রূপকথা দিয়ে ভরে তুলেছেন তাঁর খাতার পাতা।

বাংলার লােকছড়া কি ? লোকছড়া কাকে বলে ?

উত্তরকালে এসব উপাদানই তিনি উপহার দিয়েছেন বাঙালি পাঠককে। কাজেই পিসিমার আশ্রয় এবং তার জমিদারি দেখাশােনার ভার কেবল দক্ষিণারঞ্জনের জীবনের জন্যই নয়, রসপিপাসু বাঙালি পাঠকের জন্যও ছিল এক ঐতিহাসিক আশীর্বাদ। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র-মজুমদারের পারিবারিক জীবন শুরু হয় ১৯০৮ সালে গিরিবালা দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। বিক্রমপুরের মালখান নগরের বিখ্যাত বসু পরিবারের কন্যা গিরিবালা দেবীর পিতা ছিলেন শশিভূষণ বসু এবং মাতা ছিলেন সুহাসিনী বসু। প্রায় পঁচিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে দক্ষিণারঞ্জন গিরিবালার ঘরে জন্ম নেয় এগারটি সন্তান।

পুত্র-কন্যাদের মধ্যে রবিরঞ্জন, বীণাপাণি, প্রতিমা কল্যাণী ও ইন্দিরা ছিলেন তাঁর বিশেষ স্নেহের। সাহিত্য জীবনের তুলনায় তার পারিবারিক জীবনের কথা খুব বেশি জানা যায় না। তবে, অনুমিত হয় তাঁর ব্যক্তি জীবন ছিল অধিক অনন্দের। অবশ্য আনন্দের এ জীবনও খুব বেশিদিন স্থায়িত্ব পায়নি। প্রিয় সহধর্মিণী গিরিবালা দেবী, জামাতা বিজ্ঞানের অধ্যাপক সুশীলচন্দ্র রায় চৌধুরী এবং আদরের পুত্র রবিরঞ্জনের উপর্যুপরি মৃত্যু তাঁর স্বাভাবিক জীবনের উপরে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। যদিও পারিবারিক জীবনে এ ঘাত-প্রতিঘাত তাঁর সাহিত্যকর্মের উপরে গভীর কোনাে ছাপ ফেলতে পারেনি ।

ইতােমধ্যে দক্ষিণারঞ্জনের লেখা ও সংগৃহীত রূপকথা কলকাতার বিখ্যাত সব পত্রিকায় ছাপা হতে আরম্ভ করলে ক্রমে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এভাবে একসময় প্রস্তুত হয়ে যায় ঠাকুরমার ঝুলি-র পাণ্ডুলিপি। প্রকাশক না পেয়ে নিজের অর্থেই পান্ডুলিপি প্রকাশে উদ্যোগী হন দক্ষিণারঞ্জন। এ সময়ই আকস্মিকভাবে রূপকথা- লােকগীতিকা সংগ্রহের আরেক কিংবদন্তি দীনেশচন্দ্র সেনের নজরে আসে ঠাকুরমার ঝুলির প্রত্যেক-কপি। অবশেষে দীনেশচন্দ্র সেনের উদ্যোগেই সেকালের বিখ্যাত প্রকাশক ভট্টাচার্য অ্যান্ড সঙ্গ থেকে ১৯০৭ সালে আত্মপ্রকাশ করে ঠাকুরমার ঝুলি ।

 

বাংলা সাহিত্যে সৃষ্টি হয় অভূতপূর্ব আলােড়ন। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরােপেও লাগে সে আলােড়নের ঢেউ। দক্ষিণারঞ্জনের সাহিত্যজীবন ও ব্যক্তিজীবনকে আলাদা করা বেশ কঠিন। আজীবন তিনি সাহিত্য সাধনায় ব্রতী ছিলেন। জীবনের বড় অংশটিই সীমাবদ্ধ ছিল বিভিন্ন বিষয়ের লেখার মধ্যে। তার এ লেখনির গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে আছে ফোকলােরবিষয়ক নানা রচনা। ঠাকুরমার ঝুলি প্রকাশের পর একে একে দক্ষিণারঞ্জনের অনেক বই প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর প্রতিটি বই-ই বাংলা সাহিত্যের অক্ষয় সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত। উত্থান এবং ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া তাঁর যেসব বই বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য, সেগুলাে নিম্নরূপ-

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার সাহিত্যকর্মঃ 

  • মা বা আহুতি (১৯০৮),
  • ঠাকুরদাদার ঝুলি (১৯০৯),
  • আর্যনারী (প্রথম ভাগ ১৯০৮, দ্বিতীয় ভাগ, ১৯১০),
  • চারু ও হারু (১৯১২),
  • দাদামশায়ের থলে (১৯১৩),
  • খােকাখুকুর খেলা (১৯০৯),
  • আমাল বই (১৯১২),
  • সরল চন্ডী (১৯১৭),
  • পূজার কথা (১৯১৮),
  • ফাস্ট বয় (১৯২৭),
  • উৎপল ও রবি (১৯২৮),
  • কিশােরদের মন (১৯৩৩),
  • কর্মের মূর্তি (১৯৩৩),
  • বাংলার সােনার ছেলে (১৯৩৫),
  • সবুজলেখা (১৯৩৮),
  • চিরদিনের রূপকথা (১৯৪৭),
  • আশীর্বাদ ও আশীর্বাণী (১৯৪৮) ইত্যাদি।

ঠাকুরমা’র ঝুলি-র মতাে চারু ও হারু-ও সেকালে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ বই-ই বাংলা ভাষার প্রথম কিশাের উপন্যাস। রূপকথাধর্মী নিজের মৌলিক সাহিত্যকর্ম সবুজলেখা (১৯৩৮) দক্ষিণারঞ্জনের আর একটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ। বঙ্গীয় সাহিত্য মন্দির (১৯৩৯ শীর্ষক তাঁর একটি মৌলিক কবিতা সংকলন ও সেকালের বাঙালি পাঠকের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছিল । ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মার্চ (১৩৬৩ বঙ্গাব্দের ১৬ চৈত্র) দক্ষিণারঞ্জন মিত্র-মজুমদার আশি বছর বয়সে কলকাতার নিজ বাসভবন ‘সাহিত্যাশ্রম’-এ চিরনিদ্রায় শায়িত হন

আরও দেখুন

লােককথা কি লোক কথা কাকে বলে?

কিংবদন্তি অর্থ কি? কিংবদন্তি মানে কি