ডাক ও খনার বচন bongo journal

ডাক ও খনার বচন কী?

ডাক ও খনার বচন কী?

মৌখিক সাহিত্য ধারার ক্ষেত্রে ডাক ও খনার বচন অনন্যসাধারণ। ড. সুশীল দে এবং ড. আশুতােষ ভট্টাচার্য প্রবাদের আলােচনাকালে ডাক ও খনার বচনের আলােচনা ও সংগ্রহ করেছেন। সাধারণভাবে, কৃষি, আবহাওয়া, তিথি গণনা, যাত্রার শুভাশুভ দিন- ক্ষণ ভালোেমন্দের লক্ষণ ইত্যাদিই ডাক ও খনার বচনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

ডাকের বচন কি?

কিংবদন্তির নায়ক “ডাক’-এর নামে প্রচলিত ছড়া প্রবাদগুলােই ‘ডাকের বচন’ নামে পরিচিত। ‘ডাক’ কোনাে ব্যক্তির নাম কিনা সে সম্পর্কে এখনাে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা। সম্ভব হয়নি। তিব্বতীয় ভাষায় ‘ডাক’ শব্দের অর্থ “জ্ঞানের বচন’ বা ‘প্রজ্ঞাজনের বচন হিসেবে গৃহীত হতে পারে। বাংলা, আসাম, উড়িষ্যা প্রদেশের ডাকের ছড়ার প্রচলন বেশি। ডাকের বচনগুলােতে তিথি, নক্ষত্র, বার, দিক, নিষেধমূলক, মানুষের কাল, দর্পণ ও সংস্কৃতবােধ প্রতিফলিত।

বাংলাসাহিত্যের আদি যুগের অন্যতম নিদর্শন বৌদ্ধ ডাকার্ণব গ্রন্থ। তারই আদর্শে লেখা হয় ডাকের বচন। মহােমহােপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক ‘ডাকার্ণব’ গ্রন্থখানি আবিষ্কৃত হয়েছে। তিনি নেপালের কোনাে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে এ গ্রন্থ পান। তাঁর মতে ডাকার্ণব রচিত হয়েছে খ্রিস্টীয় দশম শতকে। ডাকার্ণবের সাদৃশ্যযুক্ত বাংলাদেশে-পরিচিত ডাকতন্ত্রই হচ্ছে ডাকের বচন। ডাক সম্পর্কে বিভিন্ন পণ্ডিত ভিন্ন ভিন্ন অভিমত দিয়েছেন। ডক্টর হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অভিমত হচ্ছে তার শাস্ত্রজ্ঞ কোনাে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীনীকে ডাক বা ডাকিনী মনে করা যায় । ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের অভিমত ডাক অর্থে প্রচলিত বাক্য বােঝায়।

ডাকার্ণব তান্ত্রিক মহাযান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম শাখা বজ্রযানী সম্প্রদায়ের রচিত একখানি পুস্তক। ডাক’ কিংবা ‘খনা’ যথার্থই কোনাে ব্যক্তিবিশেষ ছিলেন কিনা সে সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া যায় না। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এরূপ ধারণা প্রচলিত যে ডাক ও খনা বৌদ্ধ বা হিন্দু-সম্প্রদায়ের কোনাে জ্ঞানী ব্যক্তিকে বলা হয় । কেউ কেউ ডাকের বচনের স্রষ্টা একজন গােপ ছিলেন বলে মনে করেন। তাঁর বাড়ি ছিল কামরূপ জেলার বড়পেটা মহাকুমার লেহিভেগরা গ্রাম।

আপনার জন্যে আরওঃ

১। ডাক ও খনার বচনের মূলভাব 

২। খনার বচন বউ পিডিএফ ডাউনলোড

 

মুসলমান আক্রমণের সময় বাংলার বৌদ্ধমঠ ও মন্দিরগুলাে লুষ্ঠিত হলে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীগণ যে তাঁদের পুঁথিপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে পালিয়ে যান, সেই সূত্রে নেপাল থেকে প্রাচীন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদের একটি প্রাচীন পুঁথির সঙ্গে ‘ডাকার্ণব’ গ্রন্থখানিও পাওয়া যায়। তবে ভাষায় প্রাচীনত্বের কোনাে নিদর্শন নেই। এর ভাষা পুরােপুরি আধুনিক। ডাকের বচনে বাংলাদেশের পারিবারিক জীবনের চমৎকার ছায়াপত ঘটেছে।

 ডাক ও খনার বচনের সংজ্ঞা

ডাক ও খনার বচন আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। ডাক’ নামে একটি বৌদ্ধতান্ত্রিক সম্প্রদায় রয়েছে। বৌদ্ধ সুভাষিত নীতিকথাই কালক্রমে ডাকের বচন নামে প্রচলিত হতে পারে। অনুরূপভাবে খনার বচনগুলােও লােকপ্রসিদ্ধ অর্জন করে লােকবচনে পরিণত হয়েছে। খনা মহারাজ বিক্রমাদিত্যের সভাসদ মিহিরের সহধর্মিণী কিনা সন্দেহ নেই। তবে ‘খনা’ শব্দটি ক্ষণ>খন+আ>খনা হয়েছে বলে অনুমিত। তাৎক্ষণিক বচন বলতেই বােধ করি খনার বচন বােঝাত। ঋতু, কৃষি ও সমাজ সম্পর্কিত অভিজ্ঞতাজাত রচনাবলী কালক্রমে বঙ্গ সমাজে ডাক ও খনার বচন নামে প্রচলিত হলাে। শ্ৰী আশুতােষ ভট্টাচার্য বলেছেন, কতকগুলাে কৃষিবিষয়ক ছড়াকে খনার বচন এবং কতকগুলাে জ্যোতিশাস্ত্রবিষয়ক ছড়াকে ডাকের বচন বলা হয় ।

 খনার বচন কী?

কিংবদন্তির প্রখ্যাত স্ত্রী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ‘খনা’র নামে প্রচলিত প্রবাদ-প্রবচনগুলাে ‘খনার বচন’ নামে প্রচারিত হয়ে আসছে। যদিও ‘খনা’ প্রসঙ্গে বরাহমিহিরের একটা ঐতিহাসিক মিল খোজবার চেষ্টা করা হয়। খনা জনশ্রুতি হিসেবে নারী হলেও বাঙালি কৃষকের শস্য গণনা, হালচালনা, শষ্য রােপণ-কর্তন, আলিবন্ধন প্রণালী, বর্ষা-বন্যা- কুয়াশা-ধান্যাদি-মড়ক গণনা ইত্যাদি জ্ঞান প্রত্যক্ষ সম্পর্কযুক্ত হলেও পুরুষের রচনা বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু একথা স্মরণযােগ্য যে, মাতৃতান্ত্রিক কৃষিজীবী সমাজে কৃষিকার্যে পুরুষ নারী অপেক্ষা কম দক্ষ নয়- অতএব খনার বচনগুলাের উদ্ভবের মূলে মাতৃতান্ত্রিক

কৃষিজীবী সমাজের মৌলিক প্রেরণার অস্তিত্ব থাকা স্বাভাবিক। বাঙালির ফলিত জ্যোতিষ ও কৃষিবিষয়ক জ্ঞানই এই বচনগুলাের ভেতর দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। খনার অর্থ খাদা। খনা’ শব্দটি ক্ষণ খন্ আ খনা অর্থাৎ তাৎক্ষণিক বচন বােঝাতে খনা বচন হওয়া অসম্ভব নয়। খনা সম্পর্কে যে তথ্য জানা যায় তা হলাে তিনি একজন বিদুষী নারী ছিলেন।

অনুমান করা হয় খনার আবির্ভাবকাল ৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। খনা বলেছেন ‘আমি অনাচার্যের বেটি। জনশ্রুতি অনুযায়ী চব্বিশ পরগণার বারাসাত মহকুমার দেউলি গ্রামে খনার নিবাস ছিল। জানা যায়, চন্দ্রকেতু রাজার আশ্রম চন্দ্রপুরে খনা দীর্ঘদিন বাস করেন। বাংলার জনমনে এই বিশ্বাস প্রচলিত যে এই বিদুষী মহিলা রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন-সভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিক্রমাদিত্যের সময় খ্রিস্টীয় চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শতক। বিক্রমাদিত্যই খনার বচনের নায়ক ছিলেন। কিংবদন্তির বিশ্বাস অনুযায়ী খনা রাজা বিক্রমাদিত্যের সভার অন্যতম কবি বরাহমিহিরের স্ত্রী ছিলেন। কিংবদন্তি আছে খনা তার শ্বশুরের সম্মানার্থে নিজের জিভ কেটে ফেলেছিলেন । |

ডাক ও খনার বচনের গুরুত্ব

বাংলাদেশের মৌখিক সাহিত্য ধারায় ডাক ও খনার বচনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এগুলাের প্রয়ােগগত দিক বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। কখন কি চাষ করতে হবে, কি রকম আবহাওয়া ও জমিতে কেমন ফসল ফলাতে হবে, কোন লক্ষণ দেখে ফসলের আশু ভালাে-মন্দ নির্ধারণ করা সম্ভব সে বিষয়ে এসব বচনগুলােই লােকায়ত মানুষকে আলাে দেখিয়ে আসছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির মুখ্য ভূমিকা আছে। কৃষির সঙ্গে বৃষ্টিপাত, কুয়াশা, বায়ুপ্রবাহ, উষ্ণতা, খরা, মৃত্তিকা ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিষয়গুলাে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ডাক ও খনার বচনগুলাে এসব বিষয়ে একাধিক অভিজ্ঞতা ও লক্ষণের কথা বলা আছে। তােকজীবনের সর্বাঙ্গীণ প্রেক্ষাপটে বিচার করলে দেখা যাবে তারাও জীবনের সবকিছুকে অন্ধভাবে মেনে নেয়নি। তাদের প্রচলিত ধ্যান-ধারণার সবটুকুই যে অন্ধ বিশ্বাস-একথা ভাবার কোনাে সঙ্গত কারণ নেই। লােকায়ত মানুষ বিজ্ঞানী ছিলেন না কিন্তু বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন। ডাক ও খনার বচনগুলাের অনেকাংশ। সেই বিজ্ঞানমনস্কতার ফসল। উদ্দেশ্যমুখী গবেষণা সেই বিজ্ঞানমনস্কতাকে তুলে ধরতে পারে।

এছাড়া এসব বচনগুলাের মধ্য থেকে লােকমানস তথা লােকবিশ্বাস সংস্কার ইত্যাদির বিষয়েও জানতে পারা যায়। লােকমানসের স্বরূপ এবং গতিবিধি না জানলে লােকসমাজ এবং লােকসংস্কৃতির অনেক রহস্য উন্মোচন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই লােকজীবনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম আচরণের রহস্য উন্মােচন করতে গেলে লােকমানসকে ধরতেই হবে; বিশ্বাস, সংস্কার ইত্যাদি সম্পর্কিত সমষ্টি চেতনা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ডাক ও খনার বচনগুলােতে সেই বিশ্বাস ও সংস্কারের ছবিও পাওয়া যাবে। বাংলা ব্যতীত ত্রিপুরা, আসাম, উড়িষ্যা, অঞ্চলে ডাকের বচন পাওয়া যায়। বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর ব্যাপ্তি। এর আলােচনার ক্ষেত্রও বড়। শুধুমাত্র ডাক ও খনার বচনের উপর ভিত্তি করেই একটি মূল্যবান গবেষণা হতে পারে।

 ডাক ও খনার বচনের বৈশিষ্ট্য

ডাক ও খনা ‘জ্ঞান’ অর্থে সমার্থক দুটো তিব্বতী শব্দ। খনার বচন কৃষিবিষয়ক এবং ডাকের বচন জ্যোতিষশাস্ত্রবিষয়ক। কয়েকটি ডাক ও খনার বচন দিয়ে এদের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য তুলে ধরা যেতে পারে। ডাকের বচনগুলাে তিথি, নক্ষত্র, বার, দিগ অথবা নিষেধসূচক। এগুলাের মধ্যে মানুষের কালদর্পণ এবং সংস্কারবােধ প্রতিফলিত হয়েছে।

এখানে তিনটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত করা গেল। ডাকের বচন :

১. পরিহর দুই গ্রামে বাস। পরিহর যুবতীর আশ ॥

২. পরিহর বাটে ক্ষেতের আশ ।/পরিহর গভীর বয়সের আশ ॥

৩. অতিথি জনারে না বঞ্চিহ।/অতি উকট ব্রাহ্মণে না বলিহ ৷ ডাক ও খনার বচনে প্রকৃতি, গৃহস্থ-জীবন, পরিবেশ, জীবনযাত্রা, রান্না-বান্না, সামাজিক কর্তব্য ও নৈতিক নীতি প্রসঙ্গেই অধিক চিত্র প্রতিফলিত।

ডাকের বচনের মনীষীদের সংজ্ঞা

সাধারণভাবে জ্ঞানী ব্যক্তির বচনকে ডাকের বচন বলা হয়। অন্য মতে, ডাক হলাে বৌদ্ধতান্ত্রিক পুরুষ। আসামের কামরূপ জেলার বিউসী পরগণার লৌহ (লােহিঙ্গরা) গ্রামে তার জন্ম। ডাকের বচনের মূলে রয়েছে বৌদ্ধগ্রন্থ ‘ডাকার্ণব’-এ কথাও মনে করা ত? ‘ডাকের বচন’ প্রধানত নীতিমূলক। ডাক কোনাে ব্যক্তির নাম নয়, তিব্বতীয় ভাষায় ডাক শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা বা জ্ঞান’ এই সূত্রে ডাকের বচন শব্দের অর্থ হয় জ্ঞানের বচন।

[★★★]  আরোও দেখুনঃ রক্তাক্ত প্রান্তর নাটকের কাহিনী

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ডাক কোনও ব্যক্তি বিশেষের নাম নহে এক শ্রেণির বৌদ্ধতান্ত্রিক সাধককে ডাক বলিত। অর্থাৎ এক শ্রেণির তান্ত্রিক বৌদ্ধ সিদ্ধা ‘ডাক’ নামে পরিচিত। বদিউর রহমান বলেছেন, জ্যোতিষশাস্ত্র, ক্ষেত্রতত্ত্ব ও গৃহস্থালি সম্পর্কিত আনুমানিক দশম শতকে রচিত কতকগুলাে ছড়া ডাকের বচন নামে পরিচিত। অনেক সময় খনার বচনের মধ্যেও কতকগুলাে জ্যোতিষবিষয়ক বচন শুনতে পাওয়া যায় । এই জ্যোতিষবিষয়ক বচনগুলাে ডাকের নামে চলে । ||

 খনার বচনের মনীষীদের সংজ্ঞা

কৃষিতত্ত্ব বিষয়ক উপদেশাত্মক এক প্রকার প্রচলিত জ্ঞানগর্ভ উক্তি বাংলায় খনার বচন নামে পরিচিত। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘খনার বচন ডাকের বচনের ন্যায়, তবে উহা প্রধানতঃ ফলিত জ্যোতিষ ও কৃষিবিষয়ক | খনার অর্থ খাদা। বচনগুলাে খনার নামে আরােপিত হইয়াছে। ‘খনা কিংবদন্তির বিখ্যাত বাঙালি মহিলা জ্যোতিষী মিহিরের স্ত্রী। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী শস্যবৃক্ষ রােপণ; গৃহনির্মাণ প্রভৃতি শুভাশুভবিষয়ক সুপ্রচলিত প্রবচন যা খনার বচন বলে প্রসিদ্ধ ।

ড. আশুতােষ ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলা কৃষিপ্রধান দেশ, কৃষি-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের ব্যবহারিক জ্ঞানের পরিচয় বাংলার কতকগুলাে ছড়ার ভিতর দিয়া প্রকাশ পাইয়াছে। এই সকল ছড়া খনার বচন নামে পরিচিত। খনা কোনাে ঐতিহাসিক ব্যক্তি নয়-ড. আশুতােষ ভট্টাচার্য, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ প্রমুখ পণ্ডিত বলেছেন, ‘খনার অর্থ খাদা’, বাঙালি কৃষকের শস্যগণনা, হল চালনা, শস্য রােপণ ও কর্তনের সময় নিরূপণ, আলিবন্ধন প্রণালী, বন্যা গণনা, বৃষ্টি পণন, কুয়াশা গণনা, ধান্যাদি, মড়ক গণনা ইত্যাদি সম্পর্কিত জ্ঞান খনা নামের মধ্যে যেন একটি মূর্তি লাভ করেছে। অধিকাংশের মতে, ডাকের বচনগুলাে শুধুমাত্র ব্যক্তির সঙ্গে সমাজ জীবনের সম্পর্কের নানা দিক ও লৌকিক জ্যোতিষশাস্ত্রের কথা বলে, আর খনার বচনগুলাে মূলত কৃষি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ।

ডাক ও খনার বচনের বই ডাউনলোড 

ডাক ও খনার বচন বউ পিডিএফ ডাউনলোড (Dhak O Khonar Bochon PDF book Download)

নিচের বাটনে ক্লিক করে ডাক ও খনার বচন বউ পিডিএফ ডাউনলোড করে ফেলুন 

Download