স্মার্টফোনে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর উপায়

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর উপায়

আপনি মোবাইল ডেটা বা ওয়াইফাই ইন্টারনেট যাই ব্যবহার করুন না কেন, ট্রাফিক সমস্যা নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রয়োজনীয় কিছু ডাউনলোড করুন বা অনলাইন ক্লাস করুন সব ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো সমস্যা দেয়া দেয়। ধরুন আপনিও একটি প্রয়োজনীয় মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন,

নেট ঠিকমতো কাজ করছে না। এই ধরনের সময়ে একটি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা খুব কঠিন। অনেকের অভিযোগ, শুধুমাত্র অপারেটরগুলো প্রায়ই সঠিক গতি পায় না। তবে এই সমস্যার জন্য শুধু ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরাই দায়ী নয়। আপনার স্মার্টফোনের কিছু সমস্যার কারণে ইন্টারনেটের গতি কম হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সমস্যা ও সমাধান-

👉 আপনার জন্যে আরওঃ QR কোড কি? জেনে নিন 

মোবাইল স্টোরেজঃ ইন্টারনেটের ধীরগতির অন্যতম কারণ কিন্তু ফোনের মেমোরি পূর্ণ হওয়া। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট স্পিড কমে গেলে , পর্যায়ক্রমে ফোন ক্যাশে মেমরি সাফ করুন স্টোরেজ রিফ্রেশ করুণ। প্রতিদিন মুছা ভাল। মূলত, ব্রাউজিং এর ডাটা গুলো কে  এই মেমরিতে সংরক্ষণ করা হয়। তাই এটি  নিয়মিত মুছে ফেলা দরকার।

 আপ্লিকেশন ডিলেটঃ ফোনের ইন্টারনেট স্লো হলে কিছু কাজ করতে পারেন। আপনার স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয় অ্যাপস ডাউনলোড করুন। ফোনে কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন রাখবেন  যা সবসময় কাজ করবেন । অতিরিক্ত আপ্স গুলো ডিলিট করেন দিন। অপ্রয়োজনীয় আপ্স ব্যবহারের  ফলে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিচ্ছে সেই অ্যাপগুলো। এটি ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়।

হাই-স্পিড অ্যাপ্লিকেশনঃ ফোনে কিছু হাই-স্পিড অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে রাখতেন পারেন। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করলে ফোনের ইন্টারনেট গতি অনেক বেড়ে যায়। আপনি সহজেই Google Play Store বা App Store এ তাদের খুঁজে পেতে পারেন।

[★★★] ব্যান্ডউইথ কি? ব্যান্ডউইথ কিভাবে কাজ করে?

বিজ্ঞাপন বন্ধঃ  আপনার সচেতন হওয়া উচিত যে আপনি যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করেন, তখন স্ক্রিনে একাধিক পপ-আপ বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। সেই বিজ্ঞাপনগুলির কারণে ইন্টারনেটের গতি কম হতে পারে। তাই ফোনে অ্যাড ব্লকার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কমে যাবে।

ব্রাউজার পরিবর্তনঃ আপনি ব্রাউজার পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারেন। অনেক সময় ব্রাউজারের কারণে ওয়েব পেজ খুলতে দেরি হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্রাউজারে বিশেষ ওয়েবসাইট ওপেন হয় না। তাই যদি একটি ব্রাউজারে একটি ওয়েব পৃষ্ঠা খুলতে দীর্ঘ সময় লাগে, আপনি এটি পরিবর্তন করতে পারেন এবং অন্য ব্রাউজারে এটি খোলার চেষ্টা করতে পারেন।

নেটওয়ার্ক পরিবর্তনঃ  আপনি নেটওয়ার্কের ধরন পরিবর্তন করতে পারেন। বর্তমানে সমস্ত ফোনে 2G, 3G, 4G বিকল্প রয়েছে। আপনার ফোনে 3G বা 4G এর পরিবর্তে 2G থাকলে আপনি সঠিক গতি নাও পেতে পারেন। তাই ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে দেখে নিন। আপনার যদি 2G থাকে, তাহলে সেটিকে 4G-তে পরিবর্তন করুন।

স্মার্টফোন রিসেটঃ রিস্টার্ট করার চেষ্টা করুন। অনেক সময় ফোনের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সঠিক গতি নাও পেতে পারেন। যদি তাই হয়, আপনার ফোন বন্ধ করুন এবং এটি চালু করুন। এটি ফোনটি পুনরায় চালু করবে যাতে সেটিংস সঠিক হবে এবং কনফিগারেশন সঠিক হবে। ফলে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা বেশি হবে।

আরোও দেখুনঃ

[★★★] কম্পিউটার কি? বাংলায় কম্পিউটার কি ২০২২

[★★★] ইন্টারনেট মার্কেটিং কি কিভাবে কাজ করে ২০২২