জামা'আতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব 

জামা’আতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তােমরা রুকূ’কারীদের সাথে রুকূ করাে।” এতে বােঝা যায় যে, সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ব্যক্তির জন্য ফরয সালাত জামা’আতের সাথে আদায় করা অপরিহার্য।

সাহাবী ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে অথচ জামা’আতে আসে না- তার সালাতই হয় না। অবশ্য (ভয় ও অসুখের) ওযর ছাড়া। অতএব ওযর ছাড়া

জামা’আতে ত্যাগ করলে গুনাহগার হবে। তিনি আরো বলেন : জামা’আতের সাথে সালাত আদায় করলে একাকী সালাত আদায়ের তুলনায় ২৭ গুণ বেশী সাওয়াব হয়।অপরপক্ষে জামা’আত ত্যাগকারীদের সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)

কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেন, জামা’আত ত্যাগকারীদেও ঘর-বাড়ী আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার ইচ্ছা পােষণ করি। এছাড়া, তিনি বলেন, দুই বা তার চেয়ে বেশী লােক হলে জামা’আত হবে। জামা’আতে মুসল্লীর সংখ্যা যত বেশী হবে আল্লাহর কাছে তত বেশী প্রিয় হবে।

আরও দেখুনঃ সালাতের গুরুত্ব ও পরিত্যাগকারীর পরিণাম

[★★★]  2020 সালে সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতেছেন কে

[★★★]  ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম করার ৫ টি উপায়

[★★★]  রক্তাক্ত প্রান্তর নাটকের কাহিনী

জামা’আতে কাতার সােজা করার গুরুত্ব :

প্রত্যেক ইমামের উচিত তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে মুক্তাদীদের দিকে ফিরে কাতার সােজা ও উভয়ের মাঝে ফাঁকা পূরণ করার নির্দেশ দেয়া। রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, কাতার সােজা করাে, কেননা কাতার সােজা করা সালাত পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার অংশ। নবী আরাে বলেন, তােমরা কাতার সােজা করাে, অন্যথায় আল্লাহ তােমাদের মধ্যে

মতভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।” এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন, শয়তানের জন্য খালি জায়গা ছেড়ে রেখাে না, যে ব্যক্তি কাতার মিলিয়ে নেয় আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক মিলিয়ে নেন, আর যে (ফাঁকা রেখে) কাতার ছিন্ন করে আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কওে দেন। তিনি বলেন :

তােমরা সীসাঢালা প্রাচীরের মতাে তােমাদের কাতারগুলাে মিলিয়ে নাও এবং পরস্পর কাঁধ মিলিয়ে নিকটবর্তী হও। সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! আমি দেখছি যে, শয়তান ছােট বকরীর বাচ্চার মতাে কাতারের ফাঁকাগুলাের মধ্যে প্রবেশ করছে। নুমান বিন বাশীর (রাঃ) এরশাদ করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)

যখন আমাদের কাতার সােজা করে দিতেন তখন আমি সাহাবীদেরকে দেখেছি যে, তারা তাদের সাথীদের কাঁধের সাথে কাঁধ, হাঁটুর সাথে হাঁটু এবং পায়ের গিরার সাথে গিরা
একত্রে মিলিয়ে রাখতেন। প্রসিদ্ধ সাহাবী আনাস (রাঃ) একান্ত বলেন, আমাদের (সাহাবীদের) প্রত্যেক ব্যক্তি তার সাথীর কাধের সাথে কাঁধ ও পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখতেন। এতে প্রমাণিত হয় যে,

জামা’আতে প্রতিটি ব্যক্তি তার দু’কাঁধ বরাবর দু’পা রাখলে সকলের পা ও কাধ মিলে যাবে এবং রাসূল (সাঃ) তাঁর সাহাবীদেও মত সালাতের সুন্নাতী কাতার তৈরি হবে। অন্যথায় তা সুন্নাতের বিপরীত এবং বড় অপরাধ হবে। আল্লাহ আমাদের বদঅভ্যাস ত্যাগ করে সহীহ হাদীসের উপর আমলের সুমতি দান করুন। আমীন!