চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যুচলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ট্রেনটি জুরাইন থেকে রাজধানীতে যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু তারপর ট্রেনে ওঠার সময় আল আমিন (১৮) নামে দশম শ্রেণির ছাত্র পড়ে গিয়ে প্রাণ হারায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আল আমিন শামপুরের নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

বাবা-মায়ের সঙ্গে কদমতলী এলাকার সবুজবাগে থাকতেন। আল আমিনের বন্ধু যে নিজে দেখেছে। জোবায়ের প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তিনি ও আল আমিন নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য জুরাইনের বরইতলা এলাকায় ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। ট্রেন দেরিতে আসতে দেখে তার (জোবায়ের) কাছে চিনাবাদাম কিনছিলেন। হঠাৎ একটি ট্রেন টেনে যাত্রী উঠানোর পর ছেড়ে দেয়। তবে ট্রেনের গতি কম ছিল।

এক সময় আল আমিন ট্রেনে ওঠার সময় পিছলে ট্র্যাকের পাশে পড়ে যান। তার পা ভেঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। তাকে উ’দ্ধার করে ঢাকা ‘মে’ডিকেল ক’লেজ হা’সপা’তালে নিয়ে যা’ওয়া হয়। ঢা’কা মে’ডি’কেল পুলি’শ ‘বক্স প’রিদর্শক ‘. বা’চ্চু মিয়া’ আ’জ রাতে প্রথম আ’লোকে বলেন, রাত ৮টার দিকে আল আমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

জোবায়েরের মতে, তিনি এবং আল আমিন মাঝে মাঝে জুরাইন থেকে নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে যাতায়াত করতেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর ঢাকায় ফিরতেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই আল আমিনের মা লিপি আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, ‘জোবায়ের ছেলেকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।’

এখন এসে আমার ছেলের লাশ দেখে আসি। আল আমিনের বাবা রফিকুল ইসলামের রিকশার ব্যবসা। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের গাওডিটবেকে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আল আমিন সবার বড়।

আরও দেখুনঃ একাদশে ভর্তিতে প্রথম দিনে ৩ লাখের বেশি আবেদন